তামিম ইকবাল অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। পরে এশিয়া কাপে দ্বিতীয় দফায় ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পান সাকিব আল হাসান। যদিও বেশ বুঝিয়ে শুনিয়েই সাকিবকে রাজি করাতে হয়েছে। দলের কঠিন মুহূর্তে দায়িত্ব নিলেও বিশ্বকাপের পর একদিনের জন্যও অধিনায়কত্ব করবেন না বলে ঘোষণা দিলেন সাকিব।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ১১ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব নেন সাকিব। তখনই বলা হয়েছিল, সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ ও ভারত বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। তবে বিশ্বকাপই তার শেষ মিশন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশেরর অধিনায়ক বলেছেন, ‘এই বিশ্বকাপই শেষ। এরপর একদিনও (অধিনায়কত্ব) করবো না। যে কারণে আমি এশিয়া কাপের আগে নিতে চাইনি। এরপরও এটা না। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি হাসতে চাই, খেলতে চাই, পারফর্ম করতে চাই। এই একটা কারণে আমি করতে চাইনি।’
সাকিব আরও বলেছেন, ‘আর কোনও কারণ নেই। বেস্ট হয় যদি অধিনায়ক না থাকি। অধিনায়কত্ব কি আমার কোনও ভেল্যু অ্যাড করছে ক্যারিয়ারে এই স্টেজে এসে? আমি তো মনে করি না।’
তামিমের দুটি বড় ইভেন্টের আগে এভাবে নেতৃত্ব ছাড়াকে ভালোভাবে নেননি সাকিব। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার অধিনায়কত্ব নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না! আমি কখনও ভাবিও নাই, কেউ ওইসময় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিবে! তারপর আমাকে এশিয়া কাপের দলে পাঠালো!’
শুধু তাই নয় ক্রিকেট কবে ছাড়বেন সেটি জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, ‘আজ এখন এই অবস্থায় বলছি, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে খেলবে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় দেবো। টেস্টের অবসর শিগগিরই। অবশ্য সাকিব এ সঙ্গে যুক্ত করেন, একেক ফরমেট একেক সময় ছাড়লেও আনুষ্ঠানিক অবসর ঘোষণা করবো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর।’